মৃত মাছের যৌন অমাবস্যা ও দীর্ঘ নীল গাইটি
বাদাম রঙের ঈশ্বর নীল চাঁদের ভেতর অদৃশ্য আঙুলের তৃতীয় জীবাশ্ম দিয়ে একা একা সেরাটু পেপটি ডাইস বিষয়ক রাতের জনপদের ধ্বজাধারীদের মহাকাশ নিয়ে বারবার অবিনশ্বর হয়ে যাচ্ছেন , দুই পেগ শুক্র পাথরের কাছে একটি মৃত মাছ শুয়ে আছে আত্মহত্যার যৌন অমাবস্যায়
আমি বিনিদ্র ঘুমের নীল অজগর , তৃতীয় অলিন্দে সুচীছিদ্রের মতো ফুটো হয়ে যাওয়া বুক চিরে চলে যাই সূর্য উপমহাদেশের দিকে , একটা দীর্ঘ বরফের নীলগাই সারা রাতেই ধুম্র শিং দিয়ে খুঁচিয়ে দিচ্ছে এ পৃথিবীর বৃহৎ ডিম্বক কোষ
একটা গর্ভবতী অথচ লিঙ্গহীন সাপের নিহত হয়ে যাওয়া তলপেট , তৃতীয় কয়লার গাড়ি , চতুর্থ লিঙ্গহীন শিউলিপুর জনপদ একা একা নিজের শরীরে ডিস্পোভেনের শুঁচটি ফুটিয়ে রক্তের জ্বালামুখ বের করছে ,
শ্মশান থেকে ফিরে যাওয়া চতুর্থ শ্মশান বন্ধু আর অ্যালকোহলীয় রাস্তার চারপাশে অবিনশ্বর কাঁচ ফল কুড়িয়ে যাওয়া মানুষের মতো উপসর্গহীন চোখের কাছে এক পরমানন্দপুর লুকিয়ে থাকে আরো একবার বিশ্বামিত্র হয়ে যাবে বলে
শুধু চাঁদের শরীর থেকে অজস্র তীর ধনুকের মতো তীক্ষ্ণ মোম শলাকা নিয়ে নিজেকেই হত্যা করে বাড়ি ফিরছি পঞ্চম কৃতিকার পোস্ট অপারেটিভ দাগ নিয়ে , মৃত মাকে আগামীকালও একবার শুরু শুরু কেঁচোর মত ভাত খাওয়াবো , নীল রংয়ের ময়ূরীরা কাঠের আসবাব থেকে আমাদের বীর্যস্খলনের এক একটা ধাতব ছায়া রেখার কাছে তৃতীয় জনুক্রম ফেলে ফেনোটাইপ হয়ে যাবে সুদৃশ্য চাঁদের কঙ্কাল হাতে নিয়ে
হাফ টেট্রাক্লোরাইডের মতো বিষাক্ত নীল জোনাকি পোকারা নাঙ্গলকাটার দুপুরবেলায় ফিরে আসলে কিছু রক্তাক্ত দাঁতের সারাৎসার ভক্ষণকারী কুশধ্বজ নৌকারা মহা যৌগিক পাড়ে বসে পৃথিবীর শুক্র তারল্যের কবিতা লিখছে বজ্রাহত কৌরব পুরুষ সেজে ,
ঈশ্বর অস্ত্রহীন মহাকাব্যে নিজের সারা শরীরের দ্বারকা পুরীর ক্ষত মুখের উপর যৌন অ্যান্টিবায়োটিক লুকিয়ে রাখছেন , হোম জ্বালাও খলিলউদ্দীন নাভিতে নয়টি শাম্ব গাছ লাগাই
তৃতীয় শিব ও সোনালী ঘোড়াদের ঋতব্রত পুরুষ
৬x ক্যালক্লেরিয়া ফ্লোর বৃষ্টিতে ভিজে গেলে সকলের অস্ত্রাগার হারিয়ে যায় , জিভ মানেই আত্মহত্যার পঞ্চম বর্ষীয় ওড়না
আমার বাবার মতো মেসোপটেমিয় আবহবিকারে দাঁড়িয়ে তৃতীয় লিম্ফোসাইট চোখের ভেতর অদৃশ্য সেন্ট্রিওলের ধাতব ডি অক্সি পাতাবাহারের গাছটি লুকিয়ে রাখি অদৃশ্য ঋতব্রত জনপথে নগ্ন বিভূতির কবিতার অক্ষর শরীরে
এই উলঙ্গ জনপদে আমি শুধু ঈশ্বরীদের তলপেট খোলা একটা পরিচ্ছদের রাংতা রঙের দাঁত চিবোতে চিবোতে তৃতীয় শিবের শরীর পেরিয়ে যাচ্ছি ,
চারটি সাদা কড়ির মতো মিউরিয়েটিক মাখানো স্তনের উপর আমি হলুদ অ্যাক্রেলিকের সোনালী ঘোড়াদের লোমগুলো বুলোতে চতুর্থ ঈশ্বরের গুটিয়ে যাওয়া নীল স্নায়ুতন্ত্রের উপর ওডিসেফ চোখ এঁকে দেই
এসো দিত্য , দুই হাতে পিরামিডের সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম ধাতু বীজের ছিদ্রগুলো খুঁজে ফেলি শিবালিক পুরুষদের মতো , মিথিলা নগরের সব নীল নারীরা চোখের তলায় পুড়ে যাওয়া শ্মশান কাঠের কাজল লাগিয়ে দেয় আমি মরুদ্যানে নিশাচর খোঁজা একটা মাংসাশী সাপ কঠিন ফিমারে দুটো ঘুনপোকা রেখে আসি সেবিকাদের প্লাজমাময় অন্তর্বাসের মতো ,
হে সুধন্য নগরের উপজীব , আরো অজস্রবার বুধ শরীর তৈরি করো নির্লিপ্ত কোন শরীর থেকে , একটা উভয় লিঙ্গ কালো রঙের পোকা বায়বীয় হয়ে যাওয়ার আগে আমার শরীরে গর্ভস্থ কথা লিখে যাচ্ছে , কালাচ পোশাকের ঈশ্বর ছাদ বাগানে এসে আমার অবদমিত শল্কমোচন রেখে যাচ্ছি
জিব , জিবের থেকে ১৩ টি শ্বেত পদ্ম সাপ , সাপের থেকে অদৃশ্য কুঠার , ঞ দৈর্ঘ্যের কুঠার থেকে নির্গত তিনটি পাকস্থলীর পরশুরাম , তার নিচে জমে থাকা কিছু হড়হড়ে জলজ দ্রাবকগুলো আমি একাকী রাতে ভক্ষণ করি মৈথুন রঙ্গনশালায় নর্তক সেজে যাব বলে ,
দ্বি বীজপত্রী মৃত্যু ও নিউরোটক্সিন ঘাতকের গলা
দ্বিবীজপত্রী মৃত্যুকে সাদা উটের মতো দাক্ষিণাত্যে নিয়ে যাওয়ার আগে কংক্রিট দেওয়ালের কাছে রাখা আমার অজস্র পূর্বজন্মেরা এক একটি গোলক ব্রহ্মাণ্ড থেকে যোজনহীন হাতে ফিরে আসছে উত্তপ্ত শৈলশিরার তুলিকা মশাল নিয়ে ,
মৃত্যুকে সবুজ মাটির ভেতরে আমি হাঁটু ভর্তি গর্ত করে ডুবিয়ে রাখি বিধিধ পদের মতো , দেয়ালে শুধু এক একটি পাথরকুচি সাপ ঘুরে বেড়াচ্ছে নগ্ন হয়ে যাওয়ার আগে , আরো একবার নিউরো টক্সিন খাব ত্রি কালজ্ঞ সেবায়েত সেজে
সব উপপাদ্যের সরীসৃপ গুলো এক রাতে গ্রাফাইটের নীল চোখগুলো নিয়ে আত্মহত্যার বিলীয়মান লিটমাস কুরে খাচ্ছে অযোধ্যার সর্পিলাকার ফিরোজা নারী হয়ে থাকা নষ্ট আঙ্গুলের ডগা
শ্বেতাঙ্গ নারীর শরীরে আমার পাঁচটি আঙুলের রেখা টেনে দিচ্ছি সাপেরা গভীর নর্তকীর গুহ-প্রদেশে যাবে বলে আমি শুধু প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ থেকে মরচে রঙের হুক খোলা পৃথিবীর পঞ্চদশ যোজন বিতল বৃত্তের নিচে থাকা বরফ দৈর্ঘ্যের শিথিল সাগ্রহে ঋতুবন্ধ নারীদের আবিষ্কার করি ,
সাদা রঙের নুন মাখানো গলা কাটায় কেউ কেউ হাত পুরে পাচনতন্ত্রের পোকাগুলোকে নিয়ে পিঁপড়েদের পচে যাওয়া আপেল বাগানে নিয়ে যায়
আমি শিথিল , ঘাতক হয়ে যাওয়ার আগে নিদ্রাহীন পাখির চোখ দিয়ে দ্রোণাচার্যের বিশুদ্ধ আশ্রম পড়ে নিচ্ছি , এখানে জলধারায় হলুদ সন্ন্যাসিনী একা একা আচমন ছেড়ে দ্রাক্ষা ফুলের রস খাচ্ছে আমি শৃঙ্গার শেষের পৃথিবী ছেদন বিন্দুর সলিল সমাধি করে আসা অসমাঙ্গ ফুলের তৃতীয় স্তন বিভাজিকা ,
কবরে থাকা স্পন্দনহীন বুকের পাঁজর ভেদ করে হেপাটাইটিস রোগীটি এখনই ভেজা বারুদের ব্রহ্মাস্ত্র রাখলেন নিজের রেচনতন্ত্রের ভেতর , সমকামী চাঁদটি নিজের ভূগোল খুলে ফেলল
নিমাই জানা- রুইনান , সবং , পশ্চিম মেদিনীপুর , পশ্চিমবঙ্গ ভারত। জন্ম ২৪ শে জুন ১৯৮৪। বাবা সুধীর জানা , মা স্বর্গীয়া দুর্গা রানী জানা।
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ– ছায়ার মূলরোম ও নির্জন পুরুষ অসুখ ।