কবিতা।। লুবনা চর্যা
স্নিগ্ধ হাসির সাথে দেখা করে আসি কিছু কান্না জমিয়ে রাখি, যাতে আস্তে ধীরে সময় নিয়ে পরে কাঁদা যায়। ...
Read moreস্নিগ্ধ হাসির সাথে দেখা করে আসি কিছু কান্না জমিয়ে রাখি, যাতে আস্তে ধীরে সময় নিয়ে পরে কাঁদা যায়। ...
Read moreজলজীবন বিষন্ন দিন যখন শেষ হয়ে আসে আমি মিশে যাই গুনটানা নাওয়ের দলে, কতো নিশিদিন তারা কাটিয়েছে নদীর পার ...
Read moreসুদৃশ্য মিথাইল সাপ ও শ্মশান বন্ধুদের গর্ভাশয় সুদৃশ্য নবম গহ্বরের মতো আর কোন প্রাচীন গণিতজ্ঞ নেই অনাসক্ত ছায়ার কাছে ...
Read moreনির্মিত বরাভয় রেখে যাওয়া হয় না এই ঘুম। অনিঃশেষ মায়ার আয়োজন ভুলে গেলে ফেরারি হয় যতোটুকু প্রজাপতি ডানা পাহাড়ের ...
Read moreসিরাজ সরা চকোরী।। রাতের কণ্ঠা ধরে শিরার মতো শব্দে ব্রাহ্মী খরজিভ থেকে মহাকাল বলে ফেলল অকস্মাৎ - আর তো ফেরা যায় না অনন্ত! হাত আলগা হয়ে খুলে আসা আউলবাউলের দিলচকোরী হে সখিন, দেখো আরো ত লোক আছে ঋতুদেহে দ্রবীভূত, মাঠের পাকা হলুদ খুলে লাগিয়ে দেয় যারা খিন্ন, শিশির ঝেড়ে পুরাতন করে ফেলে একা প্রান্তরের শোক গিলাহ। গলার বাক্সে বর্ষা বসেছে বেদম। সে জল অন্তর্বাহিনী হোক যার ধর্মনাম লাভা। ব্রহ্মাণীবর্ষ জুড়ে আলোর শলা, রুহ রুহ নামে বৃষ্টির শরীর বুঝে মাটিতে গেঁথে গেল সেই ফলা ফালা বিদ্যুৎ, পুনর্বয়ব।ফিঙেরা আচ্ছন্ন ঘিরে রাখে উক্ত আঁচ, দাঁতের শ্বাপদ কামড়ে কামড়ে ছেনে আসে শস্যবতী শরীর। আত্মার বন্দিশে হা হা উথাল হাওয়া পাক খাচ্ছে, চিঁড়েকোটা আওয়াজ কাটছে কেউ আর বার বার কিসের দমফাটা আকুতি যেন ঘনিয়ে আসে শিরাস্নায়ু কাঁপিয়ে।কতখানি দূরবর্তী হবে তুমি তাদের আত্মীয়া? তোমার আত্মার গোলাপে অঙ্কিত হয়না একটিও ঘুঘু পাখির ডাগর! এমন কি চরাচর যার কাশের বনে পালক ফুরায় না এহেন অঘ্রাণে, হিমবুক ঝরে মরে অপার ধোঁয়াশ অলক্ষ্য তিতির… বেতসলতার মতো, তারপর আরো নি:শর্ত নমন, তারপর মস্তিষ্কের খাঁজে বসিয়ে দিচ্ছে এমন যে কোষগুলো নড়াচড়া করার আগেই শুধোচ্ছে, "তর্পণে বসলো?" প্রশ্ন স্বর বদলে অথচ বেরোচ্ছে পূর্বজগৃহ থেকে এভাবে, "অনন্ত শূন্যতা, মায়া ডাকে?" সাদা কাগজের আতঙ্কী গুটিয়ে আসে একলব্যের শিহরে, স্বাক্ষরহীন অস্থির মহাকাব্যে। কাঁড়বাঁশের গন্ধে বিভোর বনজ অর্জুনেরা ছিলাটান উপড়ায় । পিলচু হাড়াম বাধ্যত দ্রোণ কেউ, মানব মাংসের বিকল্প রাখেনি এযাবৎ কোন বিবর্তন। উত্তরাধিকার অগ্নির ধর্ম খুঁজে নেয়। দিন গত হলে সবারই সন্ধ্যা এক; তারারন্ধ্রে খুব ঘষে আসে তাবৎ ভাষাবিদের মুনশিয়ানায় আশ্চর্য সরোদ । রাত, প্রকৃত প্রস্তাবে মন্বন্তর সাজিয়ে রাখে নশ্বর বুভুক্ষু স্নায়ুদের পাতে, বালি পড়ে এলে এক পূর্ণ আওয়ারগ্লাস। শরতের তেতো চাঁদ- মুখোমুখি যেটুকু গলে আসে গলায়, শবনম অথবা গন্তব্যশরাব… প্রজ্ঞাপারমিতা বৃঃ ।। হোমারের বাড়িঘর ...
Read moreঅঘোরপন্থী এক. নীলাচলে, শীর্ষদেশে গহন বিজন যোনিদেশে বিল্বপত্র ফেলিল অঘোরী পথমধ্যে সর্পদল করিছে গমন চিল্লাইয়া উঠিলেন কামুকী ...
Read moreনিরুদ্দেশের হাওয়ায় যে ঘরে কান্না বসত করে―তার পাশে একটি টইটুম্বুর ডোবা সেখানে একটি কালো হাঁস ঘোরাফেরা করে; প্রতিদিন ঘরহীন ...
Read moreঅধিদর্শনের গ্রাফিতি চাবিকথা মার্জিনের মাঝে ঘুমিয়ে ছিলো কবি। প্রত্নযুবক এসে পৃষ্ঠা উল্টাতেই ঝুরঝুর করে ভেঙে পড়লো শব্দের ব্যাস ও ...
Read moreএক. জীবন বলতে যতটুকু বোঝায় সময়ের নিষ্ঠুর স্রোতে তলিয়ে জীবন ম্লান পুরো হৃদয়ের খাতা, ইতিহাস চর্চায় জরায়ুর জঠর যন্ত্রণা ...
Read moreখেলনাপাতি ও... তোমার আগমনে পুতুলগুলো নড়েচড়ে ওদের বন্দি অভ্যুদয়~ টেরাকোটার কাপড় আর অঙ্গ-ভূষণ কিছুটা অলংকরণই যথার্থ কিংবা গায়ে মেখে ...
Read more