Friday, May 9, 2025
  • Login
  • হোম
  • পরিচিতি
  • প্রবন্ধ
  • কবিতা
  • গল্প
  • সাক্ষাৎকার
  • বই আলোচনা
  • আলোকচিত্র
  • প্রতিবেদন
  • অনুবাদ সাহিত্য
  • বিশেষ আয়োজন
  • বিবিধ
  • কবি-লেখকবৃন্দ
No Result
View All Result
  • হোম
  • পরিচিতি
  • প্রবন্ধ
  • কবিতা
  • গল্প
  • সাক্ষাৎকার
  • বই আলোচনা
  • আলোকচিত্র
  • প্রতিবেদন
  • অনুবাদ সাহিত্য
  • বিশেষ আয়োজন
  • বিবিধ
  • কবি-লেখকবৃন্দ
No Result
View All Result
No Result
View All Result
Home বিশেষ আয়োজন ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস

প্রতিবেদন।। মহাকাব্যিক মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত ধানুয়া কামালপুর ।। সুবিনয় রায় তপু

Chatal by Chatal
June 1, 2021
in ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, বিশেষ আয়োজন
A A
0

জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত ধানুয়া কামালপুর। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য অধ্যায় হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে কামালপুর রণাঙ্গন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বকশীগঞ্জ, কামালপুর ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক ধ্বংশযজ্ঞ চালায়, হত্যা করে অসংখ্য মুক্তিকামী বাঙালিকে। ৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ ধানুয়া কামালপুর মুক্ত দিবস । ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড় ঘেষা জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুরে যুদ্ধের শুরুতেই হানাদারবাহিনী গড়ে তুলে শক্তিশালী ঘাটি। মুক্তিযুদ্ধে ১১নং সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের উপর্যুপরি আক্রমনে একাত্তরে হানাদার বাহিনীর আত্বসমর্পণের মধ্য দিয়ে শত্রুমুক্ত হয় ধানুয়া কামালপুর। মূলত: ধানুয়া কামালপুর মুক্ত হবার মধ্য দিয়ে সূচীত হয় শেরপুর,জামালপুর, ময়মনসিংহ,টাঙ্গাইল ছাড়াও দেশের উত্তর মধ্যাঞ্চলের জেলা গুলোসহ ঢাকা বিজয়ের পথ। মুক্তিযুদ্ধে ১১ নং সেক্টরের ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এই সেক্টরের সদর দপ্তর ছিল জামালপুরের বকশীগ্ঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর থেকে ২ কিলোমিটার দূরে ভারতের মহেন্দ্রগঞ্জ থানায়। আর সীমান্তের এপারেই ধানুয়া কামালপুরে ছিল হানাদারবাহিনীর শক্তিশালী ঘাটি। রণকৌশলের দিক থেকে তাই মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট ধানুয়া কামালপুর ঘাটি দখল করা ছিল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কামালপুর বিজয়ের লক্ষ্যে একাত্তরের ১১ নভেম্বর পাক সেনাদের শক্তিশালি ঘাটিতে আক্রমন শুরু করে মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এইঘাটির হানাদারররা। ২৩ দিন অবরুদ্ধ থাকার পর ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় হানাদার বাহিনীর গ্যারিসন অফিসার আহসান মালিক এর নেতৃত্বে ১৬২ জন সৈন্যের একটি দল যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসর্মপন করতে বাধ্য হয়। শত্রু মুক্ত হয় ধানুয়াকামালপুর । এখনো সেসব স্মৃতিচারণ করেন এখানকার মুক্তিযোদ্ধারা। ১১ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন কর্ণেল আবু তাহের বীর উত্তম। এ সেক্টরে মুক্তিযোদ্ধা ছিলো ২২ হাজার। ধানুয়াকামালপুর রণাঙ্গনে ক্যাপ্টেন সালাহ উদ্দিনসহ শহীদ হয় ১৯৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা । নিহত হয় ৪৯৭ জন শত্রুসেনা। যুদ্ধে আহত হয় সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল আবু তাহের।

মুক্তিযুদ্ধের অনেক ঐতিহাসিক স্মৃতি রয়েছে ধানুয়াকামালপুর রনাঙ্গনে। অনেকটা অবহেলায় পড়ে রয়েছে অনেক শহীদের কবর আর বধ্যভূমি। এসব কবর আর বধ্যভূমি সংরক্ষণে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞের স্মৃতিচি‎হ্ন নিয়ে অনেক গণকবর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কামালপুরসহ বকশীগঞ্জ উপজেলা জুড়ে। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বিপরীতে কামালপুরে হানাদার বাহিনী যুদ্ধের শুরু থেকেই শক্তিশালী ঘাঁটি গড়ে তোলে। মুক্তিযুদ্ধের সময়টা জুড়ে উত্তর রণাঙ্গনের ১১নং সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধান লক্ষ্যই ছিল এই ঘাঁটি দখলের। লক্ষ্য অনুযায়ী সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরের (বীরউত্তম) পরিকল্পনা অনুসরণ করে ১৯৭১ সালের ২৪ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীর কামালপুর ঘাঁটি অবরোধ করে। এসময় সেখানে পাকিস্তানী ক্যাপ্টেন আহসান মালিক খানের নেতৃত্বে ছিল এ ঘাঁটি। একদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের অবরোধ অপরদিকে হানাদারদের ঘাঁটি রক্ষায় মরণপণ চেষ্টায় দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় প্রচণ্ড যুদ্ধ। অবরোধের প্রথম দিনই সম্মুখ যুদ্ধে শত্রুর মর্টার শেলের আঘাতে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহের একটি পা হারান। এসময় ভারপ্রাপ্ত সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব নেন উইং কমান্ডার হামিদুল্লাহ খান বীর প্রতীক। মুক্তিবাহিনীর ব্যাপক তৎপরতার মুখে ২৯ নভেম্বর পাকি হানাদারদের ৩১ বালুচ রেজিমেন্ট কমান্ডার লে. কর্নেল সুলতান মাহমুদের নির্দেশে মেজর আইয়ুব কামালপুরের গ্যারিসন কমান্ডার ক্যাপ্টেন আহসান মালিক খানের দুর্গে সৈন্য, অস্ত্র, গোলাবারুদ ও খাদ্য সরবরাহের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। ১০ দিনব্যাপী প্রচন্ড যুদ্ধের পর ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় অবরুদ্ধ ৩১ বালুচের রেজিমেন্টের অধীনস্থ গ্যারিসন কমান্ডার ক্যাপ্টেন আহসান মালিক খানসহ ১৬২ জন হানাদার মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করে। মুক্ত হয় কামালপুর। আর কামালপুর মুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়েই সূচিত হয় শেরপুর, ময়মনসিংহ, জামালপুরসহ ঢাকা বিজয়ের পথ। কামালপুর যুদ্ধে ক্যাপ্টেন সালাহ উদ্দিন মমতাজ, মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান তসলিমসহ শহীদ হন ১৯৭ জন অসম সাহসী বীর সন্তান। অপরদিকে, মুক্তিবাহিনীর বীর বিক্রমে হানাদার বাহিনীর একজন ক্যাপ্টেনসহ ২২০জন সৈন্য নিহত হয়।

 

সুবিনয় রায় তপু– কলেজ শিক্ষক ও সাংবাদিক।
Tags: চাতালপ্রতিবেদনসুবিনয় রায় তপু
Previous Post

অনন্ত পৃথ্বীরাজের তিনটি কবিতা

Next Post

প্রতিবেদন ।। মুক্তিযুদ্ধে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন্স।। ইমাম মেহেদী

Chatal

Chatal

Next Post

প্রতিবেদন ।। মুক্তিযুদ্ধে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন্স।। ইমাম মেহেদী

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • About
  • Advertise
  • Privacy & Policy
  • Contact
বাংলামটর, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।
ই-মেইল: [email protected]

© 2021 Chatalbd - Design & Developed By Developer Rejwan.

No Result
View All Result
  • হোম
  • পরিচিতি
  • প্রবন্ধ
  • কবিতা
  • গল্প
  • সাক্ষাৎকার
  • বই আলোচনা
  • আলোকচিত্র
  • প্রতিবেদন
  • অনুবাদ সাহিত্য
  • বিশেষ আয়োজন
  • বিবিধ
  • কবি-লেখকবৃন্দ

© 2021 Chatalbd - Design & Developed By Developer Rejwan.

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In