Friday, May 9, 2025
  • Login
  • হোম
  • পরিচিতি
  • প্রবন্ধ
  • কবিতা
  • গল্প
  • সাক্ষাৎকার
  • বই আলোচনা
  • আলোকচিত্র
  • প্রতিবেদন
  • অনুবাদ সাহিত্য
  • বিশেষ আয়োজন
  • বিবিধ
  • কবি-লেখকবৃন্দ
No Result
View All Result
  • হোম
  • পরিচিতি
  • প্রবন্ধ
  • কবিতা
  • গল্প
  • সাক্ষাৎকার
  • বই আলোচনা
  • আলোকচিত্র
  • প্রতিবেদন
  • অনুবাদ সাহিত্য
  • বিশেষ আয়োজন
  • বিবিধ
  • কবি-লেখকবৃন্দ
No Result
View All Result
No Result
View All Result
Home প্রবন্ধ

প্রবন্ধ।। শিল্প-সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা প্রসঙ্গে।। স্বকৃত নোমান

Chatal by Chatal
May 31, 2021
in প্রবন্ধ
A A
0

অর্থনীতির অভূতপূর্ব বিকাশ ঘটছে বাংলাদেশে। অর্থনীতি পৌঁছে যাচ্ছে অনন্য এক উচ্চতায়। কিন্তু একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিই কি সব? এ উন্নতি সাধিত হলেই কি দেশ সভ্যতার উচ্চতর মার্গে পৌঁছতে পারে? না, শুধু অর্থনৈতিক উন্নতির মাধ্যমে কোনোভাবেই সভ্য দেশ গড়ে তোলা যায় না। অসম্ভব। আর সভ্য নাগরিক গড়ে না তুললে যে কোনো মুহূর্তে দেশ রসাতলের দিকে ধাবিত হতে পারে।

কীভাবে সভ্য নাগরিক গড়ে তোলা যায়? তার জন্য প্রয়োজন শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি জ্ঞান-বিজ্ঞান ও রাজনীতির সম-উন্নয়ন। বাংলাদেশে যে এখন রাজনীতি বলতে কিছু নেই, এটা লেখার আবশ্যকতা নেই। শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি আর জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশও স্থিমিত। নাগরিকদের সভ্য হয়ে ওঠার কোনো মাধ্যম নেই। ফলে তারা ধাবিত হচ্ছে মধ্যযুগের দিকে, যখন রক্তপাতই ছিল একমাত্র সমাধান, যখন মানবতা ছিল অধরা। অথচ মানুষের ইতিহাস প্রগতির ইতিহাস, এগিয়ে যাওয়ার ইতিহাস।

বাংলাদেশের সমাজ যে ক্রমশ অধঃগতির দিকে যাচ্ছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সা¤প্রতিক ঘটনাগুলো সেই সাক্ষ বহন করছে। গত বছর আমরা দেখেছি কীভাবে ‘ছেলেধরা’ গুজব ছড়িয়ে গণপিটুনি দিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। সম্প্রতি দেখলাম একইভাবে গুজব ছড়িয়ে কীভাবে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো। শুধু তাই নয়, জ্ঞানচর্চার সর্বোচ্চ কেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও মুক্তবুদ্ধি চর্চার পথ রুদ্ধ হয়ে পড়ছে। স¤প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই অভিযোগে নোয়াখালীর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ ধর্ম রক্ষা নয়, শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেওয়া। শিক্ষার্থী ছোটখাটো কোনো ভুল করলে জ্ঞান দিয়েই তার ভুলটি শুধরে দেওয়া। অথচ হচ্ছে উল্টো। কথায় কথায় বহিষ্কার। এটি কোনোভাবেই কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের চরিত্র হতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এই অধঃগতিও এক অশনি সঙ্কেত।

গোটা দেশ যে এভাবে অধঃগতির দিকে ধাবিত হচ্ছে, এর লাগাম টেনে ধরার উপায় কী? উপায় আমরা খুঁজে নিতে পারি ইউরোপীয় রেনেসাঁস থেকে। চতুর্দশ শতকে রেনেসাঁসের সূচনালগ্নে ইটালি ছিল বেশ কিছু নগর-রাষ্ট্রে বিভক্ত। এমন অনেক অঞ্চল ছিল যেগুলো তখন বৃহত্তর কোনো নগর কর্তৃক শাসিত হচ্ছিল। সব নগর-রাষ্ট্রেরই একটি করে নিজস্ব সরকার ব্যবস্থা ছিল। মিলান, ভেনিস, ফেরেরার পাশাপাশি এমনই একটি বড় নগর-রাষ্ট্র হলো ফ্লোরেন্স। ফ্লোরেন্সে প্রচলিত ছিল প্রজাতন্ত্রী সরকার ব্যবস্থা, ঠিক প্রাচীন রোমের মতো। অর্থাৎ নাগরিকরা নিজেরাই তাদের নেতা নির্বাচন করার সুযোগ পেত।

চতুর্দশ শতকের শেষ দিকে ফ্লোরেন্স পরিণত হয় একটি ধনী নগরীতে। ধনবান বণিকদের যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ ছিল শিল্প ও শিল্পীদের পেছনে খরচ করার জন্য। যার ফলে তখনকার শিল্পী ও চিন্তাবিদদের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হয়। শিল্প ক্রমশ উন্নত থেকে উন্নততর হতে থাকে, আর নতুন নতুন যুগান্তকারী সব চিন্তা-ভাবনা ও ধারণার উন্মেষ ঘটতে থাকে। তারা গ্রিক ও রোমানদের রেখে যাওয়া কাজ ও নিদর্শন নিয়ে গভীর মনোযোগের সঙ্গে অধ্যয়ন করতে গিয়ে উপলব্ধি করে যে, জীবন মানেই কেবল যুদ্ধ-বিগ্রহ নয়, জীবনে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যেরও উপস্থিতি থাকতে পারে এবং জীবনটাকে মানুষ চাইলে নিজেদের মতো করে উপভোগও করতে পারে। জীবনে অন্য কিছু নয়, মনুষ্যত্বকেই দিতে হবে সর্বাধিক প্রাধান্য। এই ভাবনা থেকে মানুষের মনে এক নতুন ধারণার উন্মেষ ঘটে যে, তাদেরকে শিক্ষিত হয়ে উঠতে হবে। শিল্প, সংগীত, বিজ্ঞান প্রভৃতি সকল মানুষের জীবনেই এক ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবে।

পঞ্চদশ শতকে ফ্লোরেন্সের ক্ষমতায় আসে মেডিসি পরিবার। তারা ছিল প্রচুর ধন-সম্পদের মালিক। বিভিন্ন শিল্পী-সাহিত্যিককে নিজস্ব তহবিল থেকে পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে তারা শিল্প-সাহিত্যের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে থাকে। এভাবে মানবতাবাদী আন্দোলনও বেগবান হয়। আন্দোলনটি প্রথমে ফ্লোরেন্স নগরীর গÐি পেরিয়ে ইটালির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নগর-রাষ্ট্র যেমন ভেনিস, মিলান, বলগনা, ফেরেরা ও রোমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ইটালি থেকে ফ্রান্স পর্যন্তও পৌঁছে যায়।

পরবর্তীসময়ে ধীরে ধীরে সমগ্র পশ্চিম ও উত্তর ইউরোপে মানবতাবাদী আন্দোলন বিস্তার লাভ করে। যদিও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে রেনেসাঁসের অভিজ্ঞতা এসেছিল ইটালির অনেক পরে, কিন্তু তবু এর প্রভাব ছিল সমান বৈপ্লবিক। এর মধ্য দিয়ে মধ্যযুগের অবসান ঘটে শিল্প সংস্কৃতি রাজনীতি ও অর্থনীতি এক নবজন্ম লাভ করে। এ সময়ই সৃষ্টি হয় অসংখ্য ধ্রæপদী দর্শন, সাহিত্য ও শিল্প, যার মাধ্যমে মানবসভ্যতা পৌঁছে যায় এক নতুন উচ্চতায়। ইউরোপীয় রেনেসাঁসের মাধ্যমে মানবতাবাদের বিকাশ এমনি এমনি ঘটেনি, তার পেছনে ছিল জ্ঞানমার্গ তথা শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি সংগীত দর্শনসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানা শাখার বিকাশ। এই বিকাশ সাধনের পেছনে ছিল শাসক ও ধনিক শ্রেণীর পৃষ্ঠপোষকতা।

বাংলাদেশের জনসাধারণকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, তাদের মধ্যে মানবতাবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য, প্রগতিবোধ জাগ্রত করার জন্য প্রয়োজন জ্ঞানমার্গের বিকাশ। আর এই বিকাশ ততক্ষণ সাধিত হবে না, যতক্ষণ না শাসক ও ধনিক শ্রেণী এর পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে আসবে। জ্ঞানমার্গের বিকাশ যে শাসক ও ধনিক শ্রেণীর পৃষ্ঠপোষকতায় হয়, তার প্রমাণ নেওয়ার জন্য ইউরোপে যাওয়ার দরকার নেই, ভারতবর্ষ থেকেও নেওয়া যায়। মগধে গুপ্তদের শাসনামলে সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যের যে চর্চা শুরু হয়, পাল ও সেন আমলে সেই ধারা অব্যাহত ছিল। বাংলায় পালদের আমলে দেশীয় ভাষা হিসেবে প্রথম বাংলা চর্চা শুরু হয়। বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্যের উদ্ভব ও প্রসার ঘটে বৌদ্ধ আমলে, বিশেষ করে স্বাধীন পাল রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায়। সেন আমলে বাংলা ভাষার চর্চা না হলেও এর নিজস্ব সত্তা লোপ পায়নি। পরবর্তীকালে হুসেন শাহ, গৌড়ের সামসুদ্দিন ইউসুফ শাহ এবং অপরাপর মুসলিম শাসকরা বাংলায় ভাষা ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা করে সাহিত্যে এক নতুন যুগ সৃষ্টি করেছিলেন। সাহিত্যচর্চায় সুলতানরা বাংলার সব ধর্মের মানুষকে সমানভাবে উদ্বুদ্ধ ও পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন।

ওদিকে আরাকান রাজসভার অমাত্যবর্গ কবি-সাহিত্যিকদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সমৃদ্ধ করেছিলেন বাংলা সাহিত্যকে। খ্রিষ্টীয় সতের শ শতকে আরাকান রাজসভার কবিদের হাতেই বাংলা সাহিত্য পরিপুষ্ট হয়েছিল, যার ফলাফল হয়েছিল বহুমুখী ও দীর্ঘস্থায়ী। আরাকান অমাত্যসভার পৃষ্ঠপোষকতায় যেসব কবি-সাহিত্যিক সাহিত্য চর্চা করে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছিলেন তাঁদের মধ্যে কবি দৌলত কাজী, কোরেশী মাগন ঠাকুর, আলাওল, মরদন, আবদুল করিম খোন্দকার, আবদুল করিম, আবুল হোসেন, কাজী আবদুল করিম, ইসমাইল সাকেব, কাজী মোহাম্মদ হোসেন, নসরুল্লাহ খান প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।

শাসক ও ধনিক শ্রেণীর সেই পৃষ্ঠপোষকতা কি এখন আছে? নেই। রাজনীতিকরা এখন স্বস্তা জনপ্রিয়তার জন্য মসজিদ-মাদ্রাসা-মন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রæতি দেয়। কেউ কখনো একটি পাঠাগার নির্মাণ করে না, নাটক থিয়েটার সাহিত্য সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞের পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন মনে করে না। তারা জনগণের দ্বারা পরিচালিত হয়। অথচ হওয়া উচিত প্রগতিশীল মানবাতাবদী রাজনীতিকদের দ্বারা জনগণ পরিচালিত হবে। এখানেই তথাকথিত গণতন্ত্রের ভয়াবহ ত্রুটি। আমাদের রাজনীতিকরা গণতন্ত্র মানে বোঝে জনতুষ্টি। জনগণের মেধার বিকাশ, আত্মউন্নয়ন ও প্রগতির দিকে ধাবিত করার কোনো প্রয়োজন তারা অনুভব করে না।

গণমাধ্যমও জনগণকে প্রগতির দিকে ধাবিত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের গণমাধ্যমের যেটুকু বিকাশ, তার পেছনে ধনিক শ্রেণী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, সন্দেহ নেই। কিন্তু তারা গণমাধ্যমের মধ্য দিয়ে সমাজ-প্রগতির চেয়ে নিজস্ব সম্পদের পাহারাদার হিসেবে গণমাধ্যমকে অধিকতর ব্যবহার করছে। এবং জ্ঞান-বিজ্ঞান বিকাশের ক্ষেত্রে শাসকদের মতো তারাও কোনো ভূমিকা রাখতে অনাগ্রহী।

আমাদের পুঁজিপতিরা চাইলেই পারে প্রতিটি জেলায় একটি করে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করতে। তারা চাইলেই পারে সাহিত্য সংস্কৃতিক দর্শন জ্ঞান-বিজ্ঞানের পৃষ্ঠপোষকতা করতে। যেমন করছে বেঙ্গল গ্রæপ। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আবুল খায়ের লিটুর দোষ থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু গুণও তো কম নয়। বেঙ্গল গ্রæপের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত হচ্ছে সাহিত্য পত্রিকা ‘কালি ও কলম’। চলচ্চিত্রেও অবদান রাখছে বেঙ্গল। সাহিত্যসেবায় প্রতিষ্ঠা করেছে বেঙ্গল পাবলিকেশন্স। সংস্কৃতি সেবায় আয়োজন করে থাকে উচ্চাঙ্গ সংগীতের অনুষ্ঠান। জেমকন গ্রæপও সাহিত্য-সংস্কৃতি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এরকম এক শ ধনবান যদি পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে আসত, তাতে নিঃসন্দেহে আমাদের জ্ঞানমার্গ উৎকর্ষ লাভ করত, যেমন লাভ করেছিল ইউরোপীয় রেনেসাঁসে বণিকশ্রেণী ও মেডিসি পরিবারের পৃষ্ঠপোষকতায়, যেমন লাভ করেছিল সুলতানদের এবং আরকান রাজসভার অমাত্যবর্গের পৃষ্ঠপোষকতায়।

বাংলাদেশ যে একটি ভয়াবহ সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে, এটা বুঝতে পারছে না ক্ষমতাসীন দল, বুঝতে পারছে না বুদ্ধিজীবী শ্রেণীও। শাসক শ্রেণী তো কথায় কথায় উন্নয়ন আর উন্নয়ন ছাড়া কিছুই বলতে পারে না। বুদ্ধিজীবীদের একটা বড় অংশ কার্যত নিশ্চুপ। তারা বুঝতে পারছে না অর্থনীতির এই বিকাশ যে কোনো মুহূর্তে যে রুদ্ধ হয়ে যেতে পারে, দেশ পড়ে যেতে পারে ঘোর সংকটে। যে সংকটে পড়েছে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরাক ও সিরিয়া।

লালমনিরহাটে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা এক ভয়াবহ অশনি সংকেত। অথচ এ নিয়ে ক্ষমতাসীন দল নির্বিকার। একজন নেতাও এই ঘটনার নিন্দা জানালেন না! বিস্ময়কর! বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র বহিঃষ্কারের ঘটনা অশনি সংকেত। ফ্রান্সের ঘটনায় বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের অবস্থানও অশনি সংকেত। মুসলিম অধ্যুষিত দেশ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশ যেখানে ফ্রান্সের ঘটনায় কৌশলী ভূমিকা পালন করছে, বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগণ ক্রমাগত মূর্খতার পরিচয় দিচ্ছে। গোটা পৃথিবীতে ফ্রান্সের সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা হচ্ছে বাংলাদেশে। কেন? পৃথিবীর কোথাও কি আর মুসলমান নেই? শুধু বাংলাদেশেই কি সব মুসলমানের বাস? এই মূর্খতার কারণে অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ কতটা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে, সেটা তাদের ধারণাতেও নেই। সরকারকে ধন্যবাদ, ফ্রান্সের ঘটনায় সরকার নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকবে। এটা সরকারের রাজনৈতিক দক্ষতার পরিচয়।

যতই উন্নয়নের কথা বলা হোক না কেন, যতই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কথা বলা হোক না কেন, বাংলাদেশ ভালো নেই। এক ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত বাংলাদেশ। এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। এ সংকটের কারণ চিহ্নিত করা না গেলে, এ সংকট থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে বের না করলে, ক্ষমতাসীন দল সতর্ক না হলে বাংলাদেশ যে খাদে পতিত হবে, তা থেকে ওঠা সহজ হবে না।

স্বকৃত নোমান-কথাসাহিত্যিক

Tags: চাতালপ্রবন্ধস্বকৃত নোমান
Previous Post

প্রবন্ধ।। অসাম্প্রদায়িক চেতনা বাস্তবায়নে সংস্কৃতিকর্মীদের দায়।। স্বপন পাল

Next Post

বই আলোচনা।। আহমদ ছফার ‘যদ্যপি আমার গুরু’।। অনাবিলা অনা

Chatal

Chatal

Next Post

বই আলোচনা।। আহমদ ছফার ‘যদ্যপি আমার গুরু’।। অনাবিলা অনা

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • About
  • Advertise
  • Privacy & Policy
  • Contact
বাংলামটর, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।
ই-মেইল: [email protected]

© 2021 Chatalbd - Design & Developed By Developer Rejwan.

No Result
View All Result
  • হোম
  • পরিচিতি
  • প্রবন্ধ
  • কবিতা
  • গল্প
  • সাক্ষাৎকার
  • বই আলোচনা
  • আলোকচিত্র
  • প্রতিবেদন
  • অনুবাদ সাহিত্য
  • বিশেষ আয়োজন
  • বিবিধ
  • কবি-লেখকবৃন্দ

© 2021 Chatalbd - Design & Developed By Developer Rejwan.

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In