ঘ্রাণযাপন
যাদের নাম দিয়েছিলাম
শান্তির ছায়া—
তাদের করতলে ছিল
ভাঙা পিঞ্জরের ছুরি
আসলে এরা চেতনার নপুংসক
উত্তর-উপনিবেশ কালেও—
যারা জল ঢেলে
আত্মজীবনী ধুয়ে ফেলতে চায়
তারা জানে না
আগুনে স্নান করলে ছায়াও পুড়ে যায়;
আর সেই ছায়ার ঘ্রাণ
পৃথিবীর বাতাসে জমে থাকে
জবানহীন পাখির মত
এই যে এত মুখোশের উল্লাস
গণিকার ভ্রু-পল্লব
পুরনো নুনের স্বাদ যেন
আবারও লাগে জিহ্বায়
একটি থুথু গড়ায়
কাঠপিঞ্জরে জন্মানো ফুলের দিকে
সেই থুথু নয় ঘৃণা
বরং ইতিহাসের লালিত প্রতিবাদ
ভোরের আগে যে ডাহুক ডাকে
তার কণ্ঠে রক্ত জমে থাকে
যতদিন না সত্য
নিজের ছায়া থেকে উঠে দাঁড়ায়
দাগ মুছে ফেলা যায়,
তবুও—
ঘ্রাণ রয়ে যায়
সভ্যতার শ্বাসে…।
দূষিত নৈঃশব্দ
পড়ন্ত সূর্যের মতন
ক্লান্ত কণ্ঠ
ভেসে আসে
তোমার নাম
ঝরাপাতা থেমে থাকে
একা চুমুর মতো…
ছায়াবর্ণ প্রণয়
জোছনার ছায়ায় কাঁপে ঠোঁট
প্রেমের গন্ধ ছিল বেওয়ারিশ
মেঘের কোলে
জন্ম নেয় এক প্রেমবিমুখ হাওর…
গর্ভবতী দিনলিপি
আলোর জরায়ুতে সময় জমে
ঘুমন্ত কাগজে বর্ণ হেঁটে যায়
প্রতিটি শব্দ অনাগত সন্তানের শ্বাস…
চিবিয়ে-খাওয়া আকাশ
নিউনের দাঁতে কাটা রাত
বাতাসে রক্ত
কেউ ফিসফিস করে:
নীল ছিল, এখন সে হলুদ ছায়া…
নিঃস্বের জ্যোৎস্না
ঝুলন্ত জ্যোৎস্নায়
এক ভিখিরির কাঁথা হয়ে ঘুমায় নদী—
তার গায়ে ছিল
তোমার কণ্ঠের শেষ নুপুর…
