জনম
ধুলোর ঝড় বয়ে যাচ্ছে চারদিকে
আর আমি উড়ে যাচ্ছি সেই ঝড়ে, যেনো পাতা
উড়ে যাচ্ছি সমুদ্র থেকে সমুদ্রে
,দিগন্ত থেকে দিগন্তে
এক মৃত্যুপুরী থেকে আরেক মৃত্যুপুরীতে।
জন্মান্তরের ব্যর্থতার বাকল খুলে ফেলে
খুলে ফেলে লজ্জা আর ধিক্কারের মালা
উড়ছি আমি আকাশে
এককণা ধুলো।
ডুবে যাচ্ছে শতজন্মের হলুদ পাতারা।
সমুদ্রের শঙ্খ
দূরান্তে বাজে ঐ সমুদ্রের শঙ্খ
সময় শান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে
তবু উতল হাওয়ারা আসে
হাত ধরে টেনে নিয়ে যায়
সমুদ্রের নীল আবাহনে।
একটু পরেই সুবহে সাদিক
আস্তে আস্তে জেগে উঠবে সমস্ত পৃথিবী
তটের লতাগাছগুলো আড়মোড়া করে ঘুম ভাঙবে
মানুষের কলরব আর পাখির গান এসে ধুয়ে দেবে
এই অনন্ত পানশালা।
গীটার হাতে উসখু খুসখু চুলের ছেলেটা
তার পবিত্র পা রেখে প্রবেশ করবে।
পাখির নীল ডিমের মতো স্বচ্ছ নীলে পা ডুবিয়ে
বসে পড়বে বালুর চাদরে
লাল কাঁকড়ার মতো
বহুদূর থেকে বহু পথ ভেঙে এসেছে সে
শুদ্ধ অম্লজান তাকে ঘিরে থাক কিছুটা প্রহর।
আরও আরও কত মানুষ, কত হাওয়া, কত পাখিরা আসবে,
একে একে
এখানে জীবন সহজ,শান্ত
নির্মল,অফুরান
বাবার আঙুল ধরে হাঁটার মতোন।
বন্দর
ঠোঁটের জ্বর
মুছে দেয় সমস্ত জগৎ
কোথাও সাম্পানখানি
ভীড়ে।
কে তুমি
যেমন সুমিষ্ট ধারা নেমে আসে
সাকির পেয়ালা থেকে ধীরে
তেমনি সুমিষ্ট গান নেমে এলো
তোমার পরবাসী কন্ঠে
ও অচেনা পাখি।
পরবাসী মেঘ
নামহীন গোত্রহীন কে তুমি অচেনা পাখি
দাঁড়িয়েছো আমার দরোজায়?
আমি কান পেতে রই নির্ঘুম
একঠাঁই হয়ে
না জানি কখন তুমি ফাঁকি দিয়ে
মিলাও বাতাসে।
ফুড়ুৎ
উড়ে গেলো একটি পাখি ফুড়ুৎ
জীবন ও মৃত্যুর মাঝখানে
তৈরি হলো সেতু।
রূপান্তর
ধ্যানের গভীরে আছে
আরও এক ধ্যান
সুমিষ্ট জলের স্রোত
সেই জল পান করি
মৃত্যু পরম বন্ধু মেনে।